এক নজরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, হবিগঞ্জ
ক্র নং- | প্রতিষ্ঠাকাল | বর্তমান অফিস প্রধান | কার্যক্রম | ঠিকানা |
০১ | ২৮.০৫.১৯৮৪ খ্রি, |
কৃষিবিদ মো: আকতারুজ্জামান উপপরিচালক |
সকল শ্রেণির কৃষকগণকে চাহিদাভিত্তিক ফলপ্রসূ সম্প্রসারণ সেবা প্রদান | কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর
(ডিএই), খামারবাড়ি, হবিগঞ্জ-৩৩০০ |
দুটি পাতা একটি কুঁড়ির দেশ সিলেট অঞ্চলের একটি অংশ হবিগঞ্জ জেলা । এ জেলা হাওড়-বাওড়-বিল-পাহাড়-বনাঞ্চল আর সমভূমির অপূর্ব সমন্বয়ে গঠিত। এ জেলার আয়তন ২৫২১ বর্গ কি. মি.। জেলার মোট আয়তনের প্রায় শতকরা ৬৭ ভাগ নীট ফসলী জমি। দানাদার খাদ্য শস্যে হবিগঞ্জ উদ্বৃত্ত জেলা । ভূ-প্রকৃতি অনুসারে হবিগঞ্জ জেলা ৬ টি কৃষি পরিবেশ অঞ্চলের অন্তর্ভূক্ত (এইজেড ১৯,২০,২১,২২,২৯ ও ৩০)। হাওড়-বাওড়, বিল-ঝিল, সমতল ভূমি, পাহাড়-টিলার অপূর্ব সমন্বয়ে গঠিত এ জনপদ যেন পুরো বাংলাদেশর প্রতিচ্ছবি। ৯ টি উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত এই জেলার মাধবপুর, চুনারুঘাট, শায়েস্তাগঞ্জ, হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় বারমাসেই পর্যাপ্ত শাকসবজি উৎপাদিত হয়। চুনারুঘাট ও বাহুবল উপজেলার টিলা/ পাহাড়ী অঞ্চলে সাইট্রাস জাতীয় ফলসহ নানা জাতের মৌসুমী ফলের আবাদ হয়। শিল্পপার্ক স্থাপন ও তাদের আবাসন এবং ইট-ভাটা নির্মাণের কারণে হবিগঞ্জ জেলার আবাদযোগ্য জমি দিন দিন কমেই চলছে। এই কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেও জেলার কৃষিজ উৎপাদন প্রবৃদ্ধি থেমে নেই। কমলা ও মাল্টা চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও আম, জাম, কাঠাল, জলপাই, বনজ বৃক্ষ,বাঁশ বেত, রাবার এবং চায়ের চাষ রয়েছে। লাখাই উপজেলার বির্স্তীণ সরিষার মাঠে মধু উৎপাদন করা হয়। সরকারের সহায়ক নীতির ফলে বিগত এক দশকে হবিগঞ্জ জেলায় কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। তরমুজ এ জেলার নতুন একটি উচ্চমূল্য ফসল। এছাড়া সাম্মাম ইতিমধ্যে ঢাকাস্থ ডিপার্টমেন্টাল শপের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
এশিয়ার বৃহত্তম গ্রাম বানিয়াচং এ জেলায় অবস্থিত। ১৯৩৪ সালে বানিয়াচং উপজেলার নাগুড়াতে একটি ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়েছিল যা গাজীপুর এ অবস্থিত বাংলাদেশ জাতীয় ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট এর বহু পূর্বে স্থাপিত। এ জেলার প্রধান দানাদার খাদ্য হচ্ছে ধান এবং প্রধান রপ্তানি পণ্য চা। পশুশাইল ধান হবিগঞ্জ জেলার জিও পণ্য হিসাবে স্থান করে নিয়েছে।
চুনারুঘাট, মাধবপুর, হবিগঞ্জ সদর ও বাহুবল উপজেলায় প্রায় ১০০০ আর্টেসিয়ান কুপ (ঘাই) আছে। এ সব কূপ থেকে প্রাকৃতিক উপায়ে সদা নির্গত ভূ-গর্ভস্থ পানি সংশ্লিষ্ট কৃষকগণ প্রাত্যহিক কাজে ব্যবহার ছাড়াও সেচ কার্যে ব্যবহার করে বছরব্যাপী ফসল উৎপাদন করছে। এছাড়া চুনারুঘাট উপজেলার রেমা-কালেঙ্গা ও জাতীয় উদ্যান সাতছড়ি পাহাড়ে রয়েছে প্রচুর সেগুনের সমারোহ তথা বন্য প্রাণির অভয়ারণ্য । মাধবপুর, চুনারুঘাট ও বাহুবল এর ২৬টি চা বাগান জেলার অর্থনীতি ও পর্যটনের ক্ষেত্রে অনন্য ভুমিকা রাখছে। বানিয়াচং, আজমিরীগঞ্জ, এবং লাখাই উপজেলার বিস্তীর্ণ হাওড় এলাকা শোল, বোয়াল, আইড়, রুই, বাইম, কৈ ও চিংড়িসহ হরেক রকমের দেশী মাছের আবাসস্থল । উল্লেখ্য যে, হাওড় অঞ্চল এক ফসলি হলেও বোরো মৌসুমে প্রচুর পরিমানে ধান উৎপাদিত হয়।
এ জেলার কৃষকরা এ অঞ্চলের অপারাপর জেলা থেকে প্রগতিশীল, কর্মঠ ও নতুন প্রযুক্তি গ্রহণে তৎপর। জেলার শিক্ষিত যুব সমাজ দিনদিন কৃষিতে ঝুঁকছে এবং দিনদিন কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণের দিকে এগিয়ে নিচ্ছে। অপার সম্ভাবনাময় এই জেলায় বিভিন্ন শ্রেণির জমিতে চাষ উপযোগী ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উন্নত কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদনের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
* এক নজরে জেলার কৃষির মৌলিক তথ্য -
ক্রমিক নং | বিবরণ |
০১ | এখানে ক্লিক করুন
|
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস