Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ছবি
শিরোনাম
রোপা আমন ফসলের আপদকালীন ভাসমান বীজতলা
বিস্তারিত
টানা বৃষ্টি ও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির কারনে দেশের কিছু এলাকা বর্তমানে বন্যায় আক্রান্ত। বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে কিছু স্থানে বীজতলায় রোপা আমনের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। ফসলহানি থেকে রক্ষার জন্য ভাসমান বীজতলায় রোপা আমন এর চারা উৎপাদন করা যেতে পারে।
বন্যার পানি নামতে দেরী হলে বা বীজতলা তৈরীর উপযোগী জমি না থাকলে নদী ,বিল,পুকুর বা জলাবদ্ধ স্থানে পানির উপর কচুরীপানা বা কলা গাছের ভেলা তেরি করতে হবে। ভেলা বা কচুরীপানার উপর নারিকেল বা সুপারি গাছের শুকনা পাতা অথবা চাটাই বিছিয়ে দিতে হবে। এর উপর জলাধারের তলদেশের মাটি বা কাদার ৩-৪ সে:মি স্তর দিয়ে বীজতলা তৈরি করতে হবে। প্রতিবর্গমিটারে ৮০ থেকে ১০০ গ্রাম জাগ দেওয়া রোপা আমনের বীজ ফেলতে হবে। স্বাভাবিক বীজতলার মতই পরিচর্যা করতে হবে। চারার বয়স ২০-২৫ দিন হলে চারা উঠিয়ে মাঠে রোপণ করা যেতে পারে।
 
সতর্কতা:

১। বীজ ছিটানোর পর সতর্ক থাকতে হবে যেন হাঁস বা পাখি বীজতলা নষ্ট করতে না পারে।এ জন্য চারিদিক নেট বা জাল দিয়ে ঘেরা দিতে হবে।

২। পানিতে যেন ভাসমান বেড যেন ভেসে না যায় সেজন্য  বীজতলার বেডকে বা ভেলাকে দড়ি দিয়ে খুঁটির সাথে বেঁধে রাখতে হবে।

৩। চারার বয়স বেশী করা যাবে না। অন্যথায় চারার শিকড় কচুরীপানার সাথে যুক্ত হয়ে যায় এবং তোলার সময় ছিড়ে যায়।